আজঃ শনিবার ১০-০৫-২০২৫ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

যুদ্ধের দামামা, ইমরান খানকে মুক্তি দিয়ে পাকিস্তানে সর্বদলীয় ঐক্যের আহ্বান

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / পঠিত : ২৪ বার

যুদ্ধের দামামা, ইমরান খানকে মুক্তি দিয়ে পাকিস্তানে সর্বদলীয় ঐক্যের আহ্বান

এসবিনিউজবিডি ডেস্ক: ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলাকে ঘিরে চরম অবনতি ঘটেছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের। ঘটনার পর থেকে পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে দুদেশ। তার ওপর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর হুমকি-ধমকিতে ক্রমেই বাড়ছে উত্তেজনা। এরই মধ্যে পাঁচ দফায় কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে। একদিকে কয়েক দফায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত, অন্যদিকে পারমাণবিক হামলার হুমকি দিয়ে রেখেছেন পাকিস্তানের একাধিক শীর্ষ নেতা। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘাতে জড়াতে পারে দুই দেশ, বাজছে যুদ্ধের দামামা।

এ অবস্থায় পাকিস্তানের জাতীয় স্বার্থে রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মুক্তি দেওয়ার দাবি তুলেছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল পিটিআই। এ ছাড়া ইমরানকে নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক আয়োজনের দাবিও জানিয়েছে দলটি।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ডন।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সোমবার (২৮ এপ্রিল) পাকিস্তানের সিনেটে সর্বদলীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে পিটিআই। অবিলম্বে একটি সর্বদলীয় সম্মেলন (মাল্টি-পার্টি কনফারেন্স) আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছে দলটি, যেখানে ইমরান খানের উপস্থিতি নিশ্চিতের দাবি তাদের। 

দলটির পার্লামেন্টারি নেতা সিনেটর আলী জাফর বলেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য একপাশে রেখে এখন দেশের স্বার্থে ঐক্য জরুরি। বর্তমান পরিস্থিতিতে একমাত্র সঠিক পদক্ষেপ সর্বদলীয় বৈঠক। ইমরান খান এমন বৈঠকে অংশ নিলে পাকিস্তান ঐক্যবদ্ধ— এমন বার্তা দেওয়া যাবে বিশ্বকে। আর এতে দেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে।

এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের মনোভাবকে ‘নাৎসি মানসিকতার’ সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি। আলী জাফর বলেন, ভারত মিথ্যা অভিযোগে পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে, অথচ পাকিস্তান নিজেই সন্ত্রাসবাদের শিকার।

সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীরে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা। পরোক্ষভাবে পাকিস্তান এ হামলায় জড়িত, এমন অভিযোগ তুলে বুধবার দেশটির সঙ্গে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে ভারত। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় দেশটি। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান। স্থগিত করে দেওয়া হয় ভারতের সঙ্গে সবরকম বাণিজ্যও।

এ ছাড়া সিন্ধু নদের পানি ইস্যুতে কড়া বার্তা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। স্পষ্ট ভাষায় তিনি ঘোষণা দেন, যেকোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে পাকিস্তান। সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের জেরে ভারতকে হুমকি দেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা ও দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোও। তিনি বলেন, সিন্ধু দিয়ে হয় পানি বইবে, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে।

পাকিস্তান প্রয়োজনে পারমাণবিক হামলার জন্যও প্রস্তুত আছে বলে ঘোষনা দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ ও রেলমন্ত্রী মোহাম্মদ হানিফ আব্বাসি। 

অন্যদিকে পেহেলগাম হামলায় জড়িত ও মদতদাতাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি সন্ত্রাসী ও তাদের মদতদাতাদের খুঁজে বের করব এবং এমন শাস্তি দেব, যা তারা কল্পনাও করতে পারবে না। সময় এসেছে সন্ত্রাসের আশ্রয়স্থল সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার। ১৪০ কোটি মানুষের দৃঢ় সংকল্প সন্ত্রাসের মদতদাতাদের চূর্ণ করে দেবে।

ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba