- প্রথম পাতা
- অপরাধ
- অর্থনীতি
- আইন আদালত
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- এক্সক্লুসিভ
- কৃষি
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- জেলা সংবাদ
- ঈশ্বরদী
- কক্সবাজার
- কিশোরগঞ্জ
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুষ্টিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খুলনা
- গাইবান্ধা
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- চট্টগ্রাম
- চাঁদপুর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- চুয়াডাঙ্গা
- জয়পুরহাট
- জামালপুর
- ঝালকাঠি
- ঝিনাইদহ
- টাঙ্গাইল
- ঠাকুরগাঁও
- ঢাকা
- দিনাজপুর
- নওগাঁ
- নড়াইল
- নরসিংদী
- নাটোর
- নারায়ণগঞ্জ
- নীলফামারী
- নেত্রকোনা
- নোয়াখালী
- পঞ্চগড়
- পটুয়াখালী
- পাবনা
- পিরোজপুর
- ফরিদপুর
- ফেনী
- বগুড়া
- বরগুনা
- বরিশাল
- বাগেরহাট
- বান্দরবান
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভোলা
- ময়মনসিংহ
- মাগুরা
- মাদারীপুর
- মানিকগঞ্জ
- মুন্সীগঞ্জ
- মেহেরপুর
- মৌলভীবাজার
- যশোর
- রংপুর
- রাঙ্গামাটি
- রাজবাড়ী
- রাজশাহী
- লক্ষ্মীপুর
- লালমনিরহাট
- শরীয়তপুর
- শেরপুর
- সাতক্ষীরা
- সাতক্ষীরা
- সিরাজগঞ্জ
- সিলেট
- সুনামগঞ্জ
- হবিগঞ্জ
- তথ্যপ্রযুক্তি
- ধর্ম
- নির্বাচন
- প্রবাস
- বাংলাদেশ
- বিনোদন
- ব্যবসা-বানিজ্য
- রাজনীতি
- শিক্ষা
- স্বাস্থ্য
বজ্রপাতে সঠিক জায়গায় আশ্রয় নিলে ৯০ শতাংশ প্রাণহানি রোধ করা সম্ভব

- আপডেটেড: মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫
- / পঠিত : ৯ বার
এসবিনিউজবিডি ডেস্ক:: বজ্রপাত নিয়ে সমাজে এখনো ছড়িয়ে আছে নানা ধরনের ভুল ধারণা- মৃতদেহ চুম্বকে পরিণত হয়, মৌজার পিলার বজ্র নিরোধ করে কিংবা বড় গাছের নিচে দাঁড়ানো নিরাপদ! আর এই ভুলগুলোই প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে প্রতিবছর। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বজ্রপাতের সময় শুধু সঠিক জায়গায় আশ্রয় নিলেই ৯০ শতাংশ প্রাণহানি রোধ করা সম্ভব। কিন্তু সচেতনতার অভাবে এবং তথ্য না পৌঁছানোয় প্রতিবছর মারা যাচ্ছেন ২৫০ থেকে ৩০০ জন মানুষ।
মঙ্গলবার (১৩ মে) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সম্মেলনে কক্ষে আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) ও রিজিওনাল ইন্টিগ্রিটেড মাল্টি-হেজার্ড আর্লি ওর্য়ানিং সিস্টেমের (রাইমস) যৌথ আয়োজনে ‘স্টেনথেনিং ডিসিমিনেশন অব লাইটনিং অ্যালার্টস থ্রোট ম্যাস মিডিয়া’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, বজ্রপাতের কারণে দেশে প্রতিবছর ২৫০ থেকে ৩০০ জন মানুষের প্রাণহানী হচ্ছে। তা ছাড়া দেশে বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে যত মানুষ মারা যায় তারমধ্যে শীর্ষে রয়েছে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা। এ অবস্থায় মৃত্যু কমানোর সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে বজ্রপাতের সময়ে ঘরে অবস্থান করা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশে যত প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে, তার মধ্যে বজ্রপাতেই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়। কিন্তু ঢাকা শহরে তুলনামূলকভাবে মৃত্যু অনেক কম, কারণ এখানে কিছু ভবনে বজ্র নিরোধক ব্যবস্থা রয়েছে।”
তিনি বলেন, “আমরা যদি সারা দেশে ভবন কোড মেনে বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারি এবং গণমাধ্যমে সতর্কতা জোরদার করি, তাহলে মৃত্যুর হার অনেক কমে আসবে।”
আলোচনায় অংশ নেওয়া আন্তর্জাতিক মহা শাখার উপপরিচালক ড. মো. শামীম হাসান ভূঁইয়া বলেন, “ঢাকায় বজ্রপাত হলেও মৃত্যুর ঘটনা নেই বললেই চলে। কারণ, ঢাকার অনেক ভবনে ‘লাইটনিং অ্যারেস্টর’ বসানো রয়েছে, যা বিদ্যুৎকে নিরাপদে মাটিতে নামিয়ে দেয়। কিন্তু গ্রামের মানুষের এ ধরনের কোনো সুরক্ষা নেই, নেই সচেতনতা বা আগাম সতর্কতা পাওয়ার সুযোগ।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এখনও বিল্ডিং কোড ঠিকমতো অনুসরণ করি না। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি বহুতল ভবনে বজ্রনিরোধক ব্যবস্থা থাকা উচিত। কিন্তু বেশি খরচ হবে, তাই আমরা বিষয়টি এড়িয়ে যাই। এমনকি সর্বশেষ বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনায় মাধ্যমে আমাদের এর মাশুল দিতে হয়।”
রাইমসের আবহাওয়া গবেষক খান মো. গোলাম রব্বানী বলেন, “বজ্রপাতের অন্যতম কারণ হলো তাপমাত্রা বৃদ্ধি। ১৯৭০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দেশে গড় তাপমাত্রা বেড়েছে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি বাড়লে বজ্রপাত ১০ শতাংশ বেড়ে যায়।”
তিনি জানান, এপ্রিল-মে মাসে বজ্রপাতের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি থাকে এবং বজ্রপাতের ৩৩ শতাংশ মাটিতে পড়ে। “বজ্রপাতের সময় ‘শেষ বিদ্যুৎ চমক দেখা’ থেকে আরও ৩০ মিনিট পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা উচিত,”—বলেছেন তিনি।
আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, “বজ্রধ্বনি শুনবেন যখনই, ঘরে ফিরবেন তখনই—এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে বিএমডি ও রাইমস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও এনিমেশন চালু করেছে।”
তিনি বলেন, “আমাদের দেশের বেশিরভাগ বজ্রপাত নিহত ব্যক্তি কৃষক বা শ্রমজীবী মানুষ, যারা খোলা মাঠে কাজ করেন। যদি তারা সময়মতো আশ্রয় নিতে পারতেন, তাহলে প্রাণ বাঁচানো যেত।”
ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপপরিচালক এস এম কামরুল হাসান বলেন, “বিশেষ করে হাওর অঞ্চলে বজ্রপাত বেশি হয় এবং সেখানে জনসচেতনতা ও নির্ভরযোগ্য সাইলেন ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রাণহানি কমানো সম্ভব।”
বজ্রপাত নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা ও বাস্তবতা:
বক্তারা বলেন, বজ্রপাতে মৃতদেহ চুম্বক হয়ে যা- এধরণের গুজব আমাদের সমাজে এখনও বিদ্যমান আছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা, এবং অনেক ক্ষেত্রে এই গুজবের কারণে মৃতদেহ চুরির ঘটনাও ঘটেছে। এমনকি আরেকটি বড় ভুল ধারণা হলো বৃটিশ আমলের মৌজার পুরনো পিলারকে মনে করা হয় বজ্রনিরোধক। কিন্তু, বাস্তবতা হলো : এগুলোর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। আবার বজ্রপাতের সময় গাছের নিচে অবস্থানকে নিরাপদ আশ্রয় মনে করা হলেও এটিও ভুল ধারণা। বজ্রপাতে মৃত্যুর ২৩ শতাংশ বড় গাছের নিচে আশ্রয় নেওয়ার কারণে হয়।
বজ্রপাত প্রতিরোধে প্রস্তাব ও সুপারিশ :
গোলটেবিল বৈঠকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বজ্রপাত থেকে বাঁচতে হলে সচেতনতাই হল প্রথম এবং প্রধান শর্ত। এক্ষেত্রে কেউ কেউ গ্রামে ও মাঠ পর্যায়ে বজ্র সতর্কতা পৌঁছে দিতে মোবাইল এসএমএস, সাইলেন ও গণমাধ্যম ব্যবহার বাড়াতে হবে বলে মনে করেন। সেইসঙ্গে প্রতিটি নতুন ভবনে বজ্র নিরোধক ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করতে আইন প্রয়োগ জোরদার করারও আহ্বান জানান।
বক্তারা আরও বলেন, বজ্রপাতের মৃত্যুবরণ করাদের বেশিরভাগই কৃষক শ্রেণির। তাই কৃষকদের জন্য বজ্রপাতকালীন নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে। এছাড়াও বিদ্যালয়, ইউনিয়ন পরিষদ, মসজিদ-মাদ্রাসা পর্যায়ে বজ্রপাত বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাতে হবে বলেও মনে করেন তারা।
শেয়ার নিউজ
নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন
-
সর্বশেষ
-
পপুলার