আজঃ সোমবার ০২-০৬-২০২৫ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

পারমাণবিক চুক্তি না করলে ইসরায়েলি হামলার ঝুঁকি, ইরানকে হুঁশিয়ারি সৌদির

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: শনিবার ৩১ মে ২০২৫
  • / পঠিত : ৭ বার

পারমাণবিক চুক্তি না করলে ইসরায়েলি হামলার ঝুঁকি, ইরানকে হুঁশিয়ারি সৌদির

এসবিনিউজবিডি ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে সম্ভাব্য সংঘাত ঠেকাতে সৌদি আরব একটি কূটনৈতিক বার্তা পাঠিয়েছে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানকে। ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক সমঝোতায় পৌঁছাতে ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সৌদির বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজ।

এ বার্তা তার ছোট ছেলে ও দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমানের মাধ্যমে সরাসরি তেহরানে পৌঁছে দেওয়া হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গত ১৭ এপ্রিল তেহরানে ইরানের প্রেসিডেন্ট ভবনে এক গোপন বৈঠকে এ বার্তা পৌঁছে দেন প্রিন্স খালিদ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান, সেনাপ্রধান মোহাম্মদ হোসেইন বাঘেরি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি।

সৌদি ও ইরানি সূত্র জানায়, বাদশা সালমান উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত পরমাণু চুক্তিকে গুরুত্ব না দেয়, তবে দেশটি ইসরায়েলি সামরিক হামলার মুখে পড়তে পারে। গোপন এ বার্তায় সৌদি বাদশা আরও ইঙ্গিত দেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ধৈর্য সীমিত এবং তিনি দ্রুত চুক্তিতে পৌঁছাতে চান।

সূত্রগুলো জানায়, খালিদ বিন সালমান ইরানকে সরাসরি সতর্ক করে বলেন, যদি কূটনৈতিক আলোচনার পথ বন্ধ হয়ে যায়, তবে ইসরায়েল তেহরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় ইরানের মিত্র হামাস ও হিজবুল্লাহ দুর্বল হয়ে পড়েছে। সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের নিয়ন্ত্রণ কমে যাওয়া এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে আঞ্চলিকভাবে ইরানের অবস্থানও তুলনামূলকভাবে দুর্বল। এই প্রেক্ষাপটে সৌদি আরব তাদের কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছে।

কার্নেগি মিডল ইস্ট সেন্টার-এর ইরান বিষয়ক বিশ্লেষক মোহনাদ হেজ আলি বলেন, তেহরানের দুর্বলতা সৌদি আরবকে কূটনৈতিকভাবে প্রভাব খাটানোর সুযোগ দিয়েছে। সৌদি আরব স্পষ্টভাবে যুদ্ধ এড়াতে চায়, কারণ তা তাদের অর্থনীতি ও ভিশন ২০৩০ পরিকল্পনার ওপর বড় আঘাত হানতে পারে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে চীনের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ বছরের তিক্ততা পেরিয়ে সৌদি আরব ও ইরান কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করে। তবে দুই দেশের মধ্যে বিশ্বাসের সংকট এখনো পুরোপুরি কাটেনি। তাই তেহরানে প্রিন্স খালিদের সফরকে অনেকেই মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখছেন।

এ বিষয়ে সৌদি আরব কিংবা ইরান এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba