প্রায় ১১০০ অবৈধ ভারতীয়কে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ ভারতীয়দের ফেরত পাঠানো হচ্ছে ভারতে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পযন্ত প্রায় ১১০০ অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে দেশটি।

এর মধ্যে বেশিরভাগই ফিরেছে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কমপক্ষে ১০৮০ জন ভারতীয় নাগরিককে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন অবৈধভাবে বসবাসকারী।

এর মধ্যে প্রায় ৬২ শতাংশ ভারতীয় বাণিজ্যিক ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রন্ধীর জয়সওয়াল বলেন, “অবৈধভাবে যাওয়া বা যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অবস্থান করা ভারতীয়দের ফেরত আনার ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা রয়েছে। যেসব ভারতীয়কে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়, তাদের আমরা ফিরিয়ে নিচ্ছি।”

তিনি আরও জানান, “২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে যারা ফিরেছেন বা ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাদের সংখ্যা প্রায় ১০৮০। এর মধ্যে ৬২ শতাংশেরও বেশি এসেছেন বাণিজ্যিক উড়োজাহাজে।”

এদিকে জয়সওয়াল ট্রাম্প প্রশাসন ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যকার চলমান বিরোধ নিয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, বিষয়টি সম্পর্কে ভারতের সরকার অবগত এবং শিক্ষার্থী ও এক্সচেঞ্জ ভিসা সংক্রান্ত মার্কিন নির্দেশনার দিকে নজর রাখছে ভারত।

তিনি বলেন, “বিদেশে অবস্থানকারী ভারতীয় শিক্ষার্থীদের কল্যাণের বিষয়টি সর্বদা আমাদের অগ্রাধিকারে থাকবে। আমরা আশা করি, মার্কিন কর্তৃপক্ষ ভিসার আবেদন মূল্যায়নের ক্ষেত্রে যোগ্যতাকে গুরুত্ব দেবে এবং ভারতীয় শিক্ষার্থীরা যথাসময়ে তাদের অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রামে যোগ দিতে পারবে।”

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে মার্কিন দূতাবাসগুলোকে নতুন শিক্ষার্থী ভিসার ইন্টারভিউ না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, শিগগিরই ভিসা প্রার্থীদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া আরও কঠোর করা হবে।

তৎক্ষণাৎ কার্যকর এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত কনস্যুলার অফিসগুলো যেন নতুন কোনো শিক্ষার্থী বা এক্সচেঞ্জ ভিসা সাক্ষাৎকারের সময়সূচি না দেয়।

এর ফলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য মার্কিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাওয়া আরও কঠিন হয়ে উঠবে, বিশেষ করে যারা এখন ভিসা প্রক্রিয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।