আজঃ রবিবার ১২-১০-২০২৫ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

যশোর জেনারেল হাসপাতালে দুদকের অভিযান

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: রবিবার ১৪ Sep ২০২৫
  • / পঠিত : ২৪ বার

যশোর জেনারেল হাসপাতালে দুদকের অভিযান

যশোর জেনারেল হাসপাতালে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ অভিযান চালায় দুদক যশোরের সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (এডি) মোহাম্মদ আল-আমিনের নেতৃত্বে একটি দল।

অভিযানের শুরুতে দুদক কর্মকর্তারা হাসপাতালের রান্নাঘরে গিয়ে রোগীদের খাবারের মান পরীক্ষা করেন। সেখানে দেখা যায়, ২০০ গ্রাম ভাত দেওয়ার কথা থাকলেও রোগীদের দেওয়া হচ্ছে কম। সকালের নাস্তার পাউরুটির পরিমাণ ঠিক নেই। ডিমের আকারে ছোট। খাবারের লবণ, পেঁয়াজ ও রসুনের মান নিম্নমানের, চিকন চালের পরিবর্তে মোটা চাল দেওয়া হচ্ছে। ডালও নিম্নমানের। ৮০ গ্রাম মাছ দেওয়া হলেও দেওয়া হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ গ্রাম। রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ, এ ধরনের নিম্নমানের খাবার নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

অভিযানের সময় দুদক কর্মকর্তারা ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গিয়ে দেখতে পান ১৬০ পিস ডায়রিয়ার স্যালাইন মজুদ থাকা সত্ত্বেও রোগীদের বাইরের দোকান থেকে স্যালাইন কিনতে বলা হচ্ছে। বিষয়টি জানতে চাইলে ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র নার্স জানান, উপরে থেকে নির্দেশনা আছে। এ বিষয়ে দুদক কর্মকর্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং উক্ত নার্সকে শোকজ করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

অভিযান শেষে দুদক কর্মকর্তারা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হোসাইন শাফায়াতের কার্যালয়ে গিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। তারা তত্ত্বাবধায়ককে অনিয়মগুলো দ্রুত সমাধানের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান। একই সঙ্গে বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখেন।

এদিকে দুদকের এ ধরনের অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে হাসপাতালটির রোগী স্বজন ও স্থানীয় সচেতন মহল। তারা বলেন, এ হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে খাবার ও চিকিৎসা সেবায় অনিয়ম চলছে।

অভিযান শেষে যশোরের সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (এডি) মোহাম্মদ আল-আমিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে আজকের অভিযান পরিচালনা করি। আমরা অবাক হয়েছি, হাসপাতালে রোগীদের যে ধরনের চাল, ডাল, তেলসহ রান্না সামগ্রী ব্যবহার করে খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে সেটা অত্যন্ত নিম্নমানের। চাউল ভাঙ্গা, অর্ধভাঙ্গা। মাছ দেওয়ার কথা ৮০ গ্রাম করে; কিন্তু দেওয়া হচ্ছে ৪৫ গ্রাম করে। স্টোর রুমে ওষুধ থাকলেও অনেক ওষুধ বিশেষ করে স্যালাইন বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে রোগীদের। অভিযানে প্রাপ্ত অভিযোগগুলো যাচাই করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba